মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার হাজত থানা হাজতখানা থেকে গ্রেফতারকৃত যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানার উপ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন ,থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, পুলিশকে মারধর করে আহত করা এবং থানা কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলাটিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরো ১৬০-১৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনায় সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামির নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে থানার অফিস কক্ষ থেকে তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি নেওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জ আদালত থেকে পুলিশকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ের অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।এ সময় তারা ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।এ কারণে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে জরুরি সেবা ও এম্বুলেন্স চলাচল করতে দেওয়া হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান,এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল।পরে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্ররা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। পরে আবারো এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক ।