মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে মদনখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের মদনখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা কালে উপজেলা বিএনপির সদস্য বাহারুল ইসলাম বাহারের নেতৃত্বে তার ভাই কৃষকলীগ নেতা হেলাল, যুবলীগ নেতা হাবিব, লায়ন সজিব ও ছাত্রলীগ নেতা রাতুলসহ আরো কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসে বাহারকে এডহক কমিটির আহবায়ক ও মোয়াজ্জেম হোসেন বিপ্লবকে সদস্য সচিব করে কমিটি অনুমোদন দিতে বলে। এসময় অভিভাবক সদস্য এমকে কাউসার খান বাদল ও সাবেক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্যরা প্রতিবাদ জানায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পরে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিদ্যালয় থেকে নিজ নিজ বাড়ী যাওয়ার সময় মদনখালী এলাকায় প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে একা পেয়ে বাহারের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন মিলে তাকে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বাহারুল ইসলাম বাহারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি লাইনটি কেটে দেয়।
এব্যাপারে মদনখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, বাহারুল ইসলাম বাহারকে এডহক কমিটির আহবায়ক হিসেবে প্রস্তাবে আমি স্বাক্ষর না করায় তার নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করে আহত করে।