শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রায় সাত মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত শহীদ আল আমিনের লাশ। সোমবার দুপুরে বালাসুর কাশেম নগর কবরস্থান থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে আল আমিন লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অর্থাৎ জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র আন্দোলনে ১৯ই জুলাই উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আল আমিন।তাৎক্ষণিক তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলামিন কে মৃত ঘোষণা করে। ২০ জুলাই ভোরে ময়না তদন্ত ছাড়া পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলা কাশিমনগরে নিয়ে আসে। পরে দ্রুত তার লাশ কাশেমনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহীদ আলামিন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারি হিসেবে কাজ করতেন।
এই কাজের সূত্রেই সে ঢাকায় বসবাস করতেন।
তার বাবা আইয়ুব খলিফা বলেন, আমার নিরপরাধ ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি সেইসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
ঘটনার পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মামলা নাম্বার ১৮ (১২)২৪ । লাশ তোলার সময় শ্রীনগর উপজেলা সিভিল সার্জন এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডঃ মুহাম্মদ ইব্রাহীম।
উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে সাত মাস পর শহীদ আল আমিন আমিনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন